প্রবন্ধ

bg1

আমি হলাম ভ্রমণ প্রিয় মানুষ  পুরো পৃথিবী না ঘুরতে পারলেও ভারতবর্ষের যতটা ঘোরা সম্ভব, ততটাই ঘুরেছি গতবারের উটির কাহিনী সকলের নিশ্চয়ই খুব ভালো লেগেছে এবার আমি কুটির চেয়েও দূরে দক্ষিণ ভারতের একদম দুই শেষ প্রান্তে যার নাম রামেশ্বর রাম  কন্যাকুমারীর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম এই দুটোই তামিলনাড়ুতে অবস্থিত
২০২৪ সালের বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজার দশমীর পরের দিন একাদশী অর্থাৎ ১৩ই অক্টোবর আমার  বাড়ি ভাটপাড়া থেকে রওনা হই গাড়ি করে
তারপর কিছু সময় হাওড়ায় আমার দিদির বাড়ির কাটিয়ে রাত্রে হাওড়া স্টেশন থেকে তিরিচুরাপল্লী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস  উঠলাম Train ছাড়লো ঠিক ৮টা বেজে ৪৫ মিনিটে
পরের দিন ট্রেনে থাকা খাওয়া হলো তারপরের দিন সকালে ট্রেন করল লেট
যে ট্রেন রাত আড়াইটায় ঢুকতো সে ট্রেন সকাল আটটায় স্টেশনে ঢুকলোযার জন্য তিরুচিরাপল্লী থেকে মাদুরাই যাওয়ার ট্রেন হলো মিস
তাই আবার টিকিট কাটা হলো স্পেশাল তেজস মাদুরাই এক্সপ্রেস
সেই ট্রেনে উঠলাম সকাল দশটায়
তারপর দুরন্ত তেজস ঝড়ের গতিতে সময়ের আগে মাদুরাই স্টেশনে ঢুকে গেলআমরা সেখান থেকে অটো করে গিয়ে উঠলাম অন্নপূর্ণা রেসিডেন্সি হোটেলে
তারপর খাওয়া দাওয়া করে একটু বিশ্রাম নিলাম।
এরপর বিকেল বেলা সেখান থেকে হেঁটে গেলাম মা মীনাক্ষী আরমান মন্দিরে
সেখানে গিয়ে দেখলাম বিশাল উঁচু মন্দির
এরপর সেখানে ঢুকে প্রথমে সোনার তালগাছ দেখলাম
তারপর মাকে দর্শন করে বেরিয়ে এলাম
তারপর সেখানে একটু কেনাকাটা করলাম আর অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করলাম
তারপর হোটেলে ফিরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম
তারপরের দিন ছিল সেই হোটেলে শেষ দিন
তাই ঘুম থেকে উঠে আগে একবার ভালো করে রুমের বাইরে ঘুরে নিলাম
 তারপর হোটেল থেকে চেক আউট করে বাসে উঠি
এবার আমরা রওনা হলাম মূল জায়গার উদ্দেশ্যে যার নাম রামেশ্বরম পথে এক দোকানে দাঁড়িয়ে খেলাম দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত খাবার ধোসা
সেখানে দিল একটি বিশাল বড় ধোসা, নারকোল চাটনি, পুদিনার চাটনি
টমেটোর চাটনি আর সাম্বার খুব সুন্দর খেলাম
তারপর ঘন্টাখানেক যাত্রা করার পর এলো রামেশ্বরম যাওয়ার বিখ্যাত বীজ যার নাম পম্বন  
ব্রিজ। দুদিকে সমুদ্র আর মাঝখানে একটি ব্রিজ
তারপর ব্রিজ পেরিয়ে আরো কিছুটা যাত্রা করবার পর গেলাম অগ্নি তীর্থমে 
সেখানে ছিল সমুদ্রের পাশে একটি ঘাট সেখানকার পবিত্র জল নিয়ে মাথায় দিলাম সেখান 
থেকে হেঁটে গেলাম রামানাথাস্বামীর মন্দিরে
সেখানকার নিয়ম হলো যে প্রত্যেক পুরুষকে খালি গায়ে ঢুকতে হবে
সেখানে ঢুকিয়ে দেখলাম দরজা বন্ধ
তারপর দরজা খুলতেই ভিতরে প্রদীপের আলোতে মূর্তি দর্শন করলাম এরপর সেখানে আসল হাতি দেখলাম
তারপর ফিরে এসে বাসে উঠলাম এরপর সেখান থেকে গেলাম রামায়নাথাম তীর্থেসেখানে শ্রীরাম পা রেখেছিলেন 
যেখানে মন্দির দর্শন করে রওনা হলাম বিখ্যাত ধনুস্কোডি বীচের উদ্দেশ্যে
পথে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে মাছ ভাত খেলাম এরপর সে এক রোমাঞ্চকর যাত্রা 
দুদিকে বঙ্গোপসাগর আর মাঝখানে সরু ফলের উপর দিয়ে হাইওয়ে 
তারপর অবশেষে পৌঁছালাম ধনুসকোডি বিচে সে এক অপূর্ব জায়গা 
সমুদ্রের মধ্যে সেই পথটির অন্ত হয়েছে এখান থেকে দূরবীন  শ্রীলঙ্কা দেখা যাচ্ছিল 
তারপর সেখানে ঝিনুক কুড়ালাম, জলে পা ভেজালাম 
কিন্তু সেখানে এতই হাওয়া আর জলে স্রোত যেন সবকিছু উড়ে যাচ্ছে 
এরপর জানলাম যে এখান থেকে শুরু হয়েছে রাম সেতু যা শ্রীলঙ্কা অব্দি গিয়েছে 
তবে সেটি এখন জলের তলায় 
এরপর বাঁশি উঠে রওনা হলাম রামনাথাপুরাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে 
তারপর দুঘণ্টা যাত্রা করার পর পম্বন ব্রীজ পার হয়ে পৌছালাম স্টেশনে 
সেখান থেকে রাত আটটা ৫৯ মিনিটে রামম ক্যাপ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস উঠলাম 
পরের দিন ভোর চারটে তে সেই ট্রেন গিয়ে পৌঁছালো কন্যাকুমারী স্টেশনে 
সেখান থেকে অটো করে বিবেকানন্দ সেবা ক্যাম্পসে গিয়ে উঠি

বেশ সুন্দর জায়গায় হোটেল ছিল সেখানে প্রচুর ময়ূর ছিল 
তারপর একটু বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে করলাম বিবেকানন্দ রক দেখার উদ্দেশ্যে 
কিন্তু গিয়ে দেখি উত্তাল সমুদ্রের জন্য লঞ্চ বন্ধ 
তারপর দুপুরে খাওয়ার পর দেখি লঞ্চ চালু হয়েছে তারপর ব্যাস! সে এক রোমাঞ্চকর যাত্রা 
সমুদ্রের উপর দিয়ে দুরন্ত বেগে ছুটে চলে আমাদের লঞ্চ 
তারপর বিবেকানন্দর রকে নেবে স্বামী বিবেকানন্দ চরণ রাখা  ধ্যানের হল দেখলাম 
তারপর লঞ্চে করে ফেরত এলাম তারপর গিলাম ভারতের শেষ প্রান্তের জায়গাটিতে 
সেখানে ডানদিকে বঙ্গোপসাগর সামনে ভারত মহাসাগর  বাঁদিকে আরব সাগর তারপর একটু কেনাকাটা, ঘোড়া
খাওয়া সেরে হোটেলের ফিরে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম 
আজ ঘোরাফেরার শেষ দিন সকাল আটটায় উঠে জল খাবার খেয়ে বাসে উঠলাম 
তারপর গেলাম সাইবাবার মন্দির সেখানে বাবার মূর্তি ধ্যানের স্থল দর্শন করলাম 
তারপর বাসি দুঘণ্টা যাত্রা করার পর গেলাম কেরালার পুভার ব্যাকওয়াটারে 
সে এক রোমাঞ্চকর যাত্রা নৌকোয় করে ছোট খালের উপরে যাত্রা করি 
দূর থেকে আরব সাগর দেখি তারপর দুঘণ্টা যাত্রা করে, বাড়ি ফিরে আসি 
তারপর বাঁশি উঠে গেলাম কেরালার বিখ্যাত কোভালাম বিচে দেখে মনে হল পুরো বিদেশ!
সেটি আরব সাগরের পাশে অবস্থিত সেখানে ঢেউ দেখলাম, জলে পা ভেজালাম,
ঝিনুক কুড়ালাম  তারপর বাসে উঠে গেলাম বিখ্যাত শ্রী পদ্মনাভস্বামীর মন্দিরে 
যেটি কেরালার রাজধানী তিরুবন্তপুরামে অবস্থিত 
সেখানে খালি গায়ে ধুতি পড়ে লাইনে দাঁড়ালাম 
তারপর তিন তিনটে গেট দিয়ে ঠাকুর এর মাথা পেট  পা দর্শন করলাম
তারপর রাতের খাবার খেয়ে বাসে করে হোটেলে ফিরে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম 
তারপরের দিন ছিল ফেরার দিন 
তাই হোটেল থেকে চেক আউট করে অটো করে গেলাম কন্যাকুমারী স্টেশনে 
সেখান থেকে দশটায় ক্যাপ টিভিসি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস  উঠি 
তারপর চার ঘন্টা যাত্রা করার পর তিরুপত্তপূরক স্টেশনের নামি  
সেখান থেকে বিকেল চারটেতে শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস  উঠি 
আর পরের দিন পুরো ট্রেনে
এর পরের দিন দুপুর দুটোয় ট্রেন থেকে নামলাম সাঁতরাগাছি স্টেশন 
সেখান থেকে চলে গেলাম দিদির বাড়ি সেখান থেকে সন্ধ্যেবেলা গাড়ি করে চলে এলাম বাড়ি

Name- Adrish Nath
Class- VI
Age – 12
School – 
St. Luke’s Day School

Open chat
1
How Can I Help You
How Can I Help You