গল্প ও কবিতা

যন্ত্রমানব
ও যে এক যন্ত্রমানব;
হাত আছে যার, পা আছে যার,
আছে আস্ত এক মাথা।
বুদ্ধি রয়েছে এতই তুখোড়
যা জটিল সমস্যার সমাধানেও পাকা।
মানব দ্বারা সৃষ্ট হলেও
মানবকেই হারতে শেখায়।
গড়ে তোলে নতুন জগৎ,
নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনায়।
ও যে এক কৃত্রিম মানব;
আলাদিনের সেই বিশ্বস্ত জিন
আজ্ঞাবহ দাসের মতো…
দেখতে কী কেউ পাও ?
কল্পকথার সেইরূপ দাস
থেমে নেই যে কোনোখানে
চাঁদে কিংবা সূর্যে।
পাড়ি দিয়েছে বহু বহু ক্রোশ দূরে
দুর্বোধ্য, দুর্গম সব স্থানে।
ও যে এক আশ্চর্যমানব,
মানব না হয়েও সে মানব
দেখিয়েছে, সে–ই শ্রেষ্ঠ।
অনুভূতিহীন, প্রাণহীন এক দেহ
কলকব্জার চাবিকাঠিতেই মন্ত্র।
মানছি বটে কালের নিয়মে
নব প্রযুক্তি হয় সৃষ্ট।
তবে কী সেটি এতই প্রয়োজন ?
যে মানব আজ তার কাছেই তুচ্ছ।
Name- Debayan Nag
Age – 16
Class- X
School – Shyambazar A. V. School
An Intriguing Story of a Dog, a Beggar, and a woman
Long ago, in the quiet town of Dehra, lived a lady with her dog. She had a small farm of her own where she used to grow tomatoes. Her dog was a friendly mountain dog who was adored by everyone in the neighbourhood. The woman and the dog had been living a quiet peaceful life for years, until one day a beggar knocked at her door.
No sooner did the woman hear the knock than she rushed to open the door. Only to find a man in shabby clothes. His clothes were torn and he had very long hair which was unkempt. The beggar looked weak and it seemed that he had not eaten anything since two days. The beggar begged her and cried “Please miss give me some food, I am hungry and haven’t had any food since three days.” The woman felt pity for him. Then she suddenly remembered how her neighbours told her about how many thieves are dressing up as beggars and then entering into the house and stealing valuable items from different houses. The woman’s expression suddenly changed into an angry one and she said “No, I don’t have anything to thieves like you.” Saying this she slammed the door at his face. The beggar got sad and he was about to walk away, but suddenly he heard some baking noise coming from behind. He turned back to see who it was but suddenly he was pushed down by a dog. The lady after hearing the voice of her dog ran out and saw the dog was licking the face of the beggar.
She rushed outside and scolded her dog and trying to drag him away from the beggar. Then suddenly the beggar shouted to stop and listen to him first. After thinking for a moment, the lady nodded. That’s when he told her that five years ago, he had a mountain dog. Whom he left at someone’s door because he had recently lost his job and didn’t have the money to feed the dog. The dog was none other than the dog of the woman. The woman was moved by his story and had tears in her eyes and then, she asked the beggar to come and inside and have some food.
Name- Soubarna Jha
Age- 15
Class- IX
Institution – Good Shepherd School, Siliguri
WHERE THE MIND IS WITHOUT FEAR
Aren’t you the ones who worship Maa with devotion
Aren’t you the ones who plead for every portion?
Aren’t you the ones who pay the workers their due,
But cut a woman’s wages, though she works just as true?
Aren’t you the ones who send your daughters away,
To serve in silence, with no voice to say?
Aren’t you the ones who claim women must bear,
While the man sits crowned, without a care?
Aren’t you the ‘man’ who shapes the law’s foundation,
As if women’s rights were mere decoration?
We are the women, we are the Mother,
We are the daughters who honour one another,
We can do all that a living being may,
And surpass what any man dares to say!
Name- Sampurba Guha
Age – 18
Class- 1st Year
Institution- Malda College
নীলুর ইচ্ছা
প্রথম দৃশ্য
(নিতাই অর্থাৎ নীলু তার প্রথম মাসের মাইনে নিয়ে তার বাবাকে দিতে গিয়ে বাবার
সাথে কথপকথন)
নীলু – বাবা
বাবা – কে?.. নীলু, আয় বাবা ভিতরে আয়
নীলু – বাবা এই নাও আমার প্রথম মাসের মাইনে।
বাবা – তা, তুই আমাকে না দিয়ে তোর মা কে দে, গুছিয়ে রাখবে।
নীলু – বলেছিলাম..। আমার না একটা কথা বলার আছে।
বাবা – হ্যাঁ, বল।
নীলু – (ইতস্তত হয়ে) না.. আ.. আ, আমার না বলতে লজ্জা করছে।
বাবা – লজ্জা না করে চটপট বলে ফেলত।
নীলু – (একটু লজ্জা পেয়ে) বাবা… (চোখ বন্ধ করে ) আমি না বিয়ে করব।
বাবা – (মুখ হা ) কী? বিয়ে করবি!
নীলু – হ্যাঁ
বাবা – না তোর এখন বিয়ে করতে হবে না।
নীলু – (গভীর গলায়) না!
তুমি এটা বলতে পারো না। তাহলে তুমি বলো আমার বিয়ে কবে হবে?
বাবা – ওই ই এক দুই বছর পর থেকে তোর জন্য মেয়ে দেখা শুরু করব ক্ষণ।
নীলু – (চোখের কোলে জল ও রেগে গিয়ে) তার মানে আমার কি বিয়ে হবে না?
বাবা – হবে। একটু অপেক্ষা কর।
নীলু – (রেগে) এক – দু বছর! এটা একটু সময়!
বাবা – আরে রেগে যাচ্ছিস কেনো? নীলু – তাহলে তুমি এখন আমার বিয়ে দেবে না?
বাবা – না দেবো না।
নীলু – দেবে না?
বাবা – না দেবো না
নীলু – দেবে না?
বাবা – না, দেবো না, দেবো না…
নীলু – (রাগ ও কান্না মিশ্রিত গলায়) তাহলে এই আমি বলে দিলাম যে, বাড়িতে যেন বউ বরনের সব উপকরণ রাখা থাকে।
বাবা – কেন?
নীলু – (রেগে গিয়ে) কারণ আমি বাড়ির বাইরে গেলে কোনো বিশ্বাস নেই যে কি করব, কোনো বিশ্বাস নেই… বিশ্বাস নেই…. (বলতে বলতে ঘরের দিকে এগোল)
বাবা – (মাথায় হাত দিয়ে) যা বাবা! এ আমার ছেলে
মা – (সব কিছু আড়াল থেকে শোনার পর একটু জোর গলায়)
এবার আমার পুরো বিশ্বাস হয়ে গেলো এ তোমারই ছেলে।
(বাবা ঠোঁট ছোট করে চোখ বড় করে গভীর ভাবে মা র দিকে তাকালো )
দ্বিতীয় দৃশ্য
(ঘরে গিয়ে একটু রাগ কমতে একটু ভেবে নীলু তার দিদি কে ফোন করলো )
নীলু – হ্যালো
দিদি – হা রে নীলু বল এত দিন পর হঠাৎ, কিছু কি হয়েছে?
নীলু – হ্যাঁ, হয়েছে তো..
দিদি – কি? বাবা মা র কি কিছু হয়েছে?
নীলু – হ্যাঁ রে শুধু তোর বাবা মা র চিন্তা আর এক মাত্র ভাই টা তার কি
দিদি – ও তোকে নিয়ে ব্যাপার তা কি হয়েছে তোর
নীলু – দিদি, আমার কি বিয়ে হবে না..
দিদি – ও এই ব্যাপার, তা তুই বাবা মা র সাথে কথা বল।
নীলু – (কাঁদো গলায়)মা র কথা জানি না,হয়তো মা রাজি হবে কিন্তু বাবা রাজি হচ্ছে না।
দিদি – তা বাবাকে রাজি করা
নীলু – হচ্ছে না, তুমি একটু বলো না।
দিদি–না–না, আমার কাছে বাবার কথাই শেষ কথা আর ফোনে তো মোটে আমি এ সব বলব না।
নীলু – তাহলে দয়া করে, এখানে এসে বাবাকে রাজি করাও না। আমি জানি তুমি পারবে। দিদি – বলছিস?
নীলু – হ্যাঁ, তুমি পারবে।
দিদি – ঠিক আছে তাহলে আমি যাচ্ছি।
তৃতীয় দৃশ্য
(কিছুক্ষন পর নীলুর মনে হলো যে হয়ত দিদি পারবে না,
তাই সে তার দিদাকে ফোন করলো )
নীলু – (দ্রুততার সঙ্গে ) হ্যালো, দিদা কেমন আছো? আমি তোমার নীলু বলছি
দিদা – ও… নীলু.. বাবা কেমন আছিস?
নীলু – আমি ভালো আছি, আর তুমি?
দিদা – আমি ভালো আছি, বাড়ির সকালে ভালো আছে?
নীলু – বাড়ির সকলে ভালো আছে কিন্তু.
দিদা – কিন্তু কি?
নীলু – আমার মন খারাপ
দিদা – কেন? কি হয়েছে?
নীলু – দিদা, আমার কি বিয়ে হবে না
দিদা – কেন হবে না, আমার নীলু শোনার চাঁদ, সোনা মানি, চোখের মণি, তোর আবার বিয়ে হবে না, তা কখন ও হয়
নীলু – (মুখ চুন করে ) দিদা, বাবা বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছে না
দিদা – কেন? তোর তো বিয়ের বয়স হলো,
তুই মনে হয় জানিস না কিন্তু আমার যখন বিয়ে হয় তখন আমি ক্লাস ফোর আর তোর দাদু ক্লাস আট। আর তুই তো এত বড় হয়ে গেলি তা তোর এখন বিয়ে দেবে না।
নীলু – না, তুমি একটু এসে বাবাকে রাজি করাও না। তুমি পারবে..
দিদা – তাহলে আমি আসছি দাঁড়া বাবা।
(নীলুর মা তাকে একটা কাজের জন্য বাইরে পাঠালো)
চতুর্থ দৃশ্য
(বাবা চেয়ারে বসে গভীর চিন্তায় নীলুর বলা কথা গুলো নিয়ে ভাব ছিলেন এমন সময়ে কলিং বেলের আওয়াজ)
বাবা – আ.. হা.. এই সময় কে এলো? ও নীলুর মা দেখনা কে এসেছে…
মা – (রাগি গলায়) পারবো না, আমি কাজ করছি তুমি যাও তো বাপু
(বাবা এমন সময় বাইরে দিয়ে শুনতে পেল কে যেন এক মেয়ে ডাকছে, বাবা.. বাবা… ও বাবা…. )
বাবা (শুনে তো লোম খাড়া হয়ে গেল আর বসে না থেকে পাইচারি শুরু করলেন) সর্বনাশ করেছে নীলু তাহলে কি সত্যি বিয়ে
করে বউমা আনলো না কি? আর বিয়ে করে আসতে না আসতেই ‘ বাবা ‘ বলতে শুরু করে দিলো।
এ আমার ছেলে কাকে বিয়ে করে আনল রে!
(বাবা যখন এ সব ভাবছিলেন ততক্ষণে মা গিয়ে দরজা খুললেন বাবা শুনতে পেলেন মা বলছে– ভিতরে আয়, ভিতরে আয় )
বাবা– (রাগে গচগচ করতে করতে) নিকুচি করেছে। পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন কে কী বলবে তাৱ কোন ঠিক নেই।
আর ইনি ‘ভিতরে আয় ভিতরে আয়‘ করছে….
(সব শুনে রেগে দরজার দিকে মুখ করে দাড়ালেন)
(মেয়েটি ওপরে উঠল)
বাবা– টুসু (দিদি)! তুই এখন, এই সময়ে?
টুসু– কেন বাবা? আমি বুঝি আসতে পারি না?
বাবা– (ইতস্তত হয়ে) পারিস। কিন্ত তুই তো বলে আসিস।
(এমন সময় মা ঘরে ঢুকলেন)
মা– আ..হা.. মেয়ে আসতে না আসতেই বাবা–মেয়েৱ কথা বলা শুরু হয়ে গেল। আগে বস তারপর কথা বল।
(মা মিষ্টি নিতে চলে গেলেন)
টুসু– (ইতস্তত হয়ে) বলছি..,তুমি কী এখন নিলুর বিয়ে দেবে? ও আসলে আমাকে ফোন করেছিল..।
বাবা– ও এই ব্যাপার, বস।
(এই বলে তাদের মধ্যে কথা বলাবলি হতে লাগল)
তার পর কথা বলাবলি হচ্ছে এমন সময় কারোর যেনো মৃদু গলার আওয়াজ ভেসে এলো নীচ থেকে বাবা…. বা.. বা..
এই শোনার পর বাড়ির বেল বাজলো।
বাবা – (বাবা চমকে গিয়ে) হ্যাঁ গো দেখো ছেলে কি বউ নিয়ে এলো..
মা – এ সব ভুলভাল কথা বলো না আমার ছেলে মোটে ও এরকম নয়
(মা গিয়ে দরজা খুললেন আর তার পর থেকে বাবা শুনলেন মা নিচে বলছে)
মা- ভিতরে আসুন মা ভিতরে আসুন।
বাবা রেগে বিড় বিড় করতে বাড়ি ঢুকতে না ঢুকতেই ভালোবেসে মা বলছে এ আমার ছেলেকোন মা লক্ষ্মী নিয়ে এল (এই বলে গভীর নিঃশ্বাস ছাড়লেন) মহিলাটি ওপরে উঠলেন….
বাবা – মা! আপনি এমন সময়, আর বাড়ির সামনে ‘বাবা ‘ বলছিলেন কেন?
দিদা – এই হেঁটে এত টা আসলাম তাই কষ্ট হচ্ছিল মুখ থেকে ‘বাবা ‘ বেরিয়ে গেছিল।
আর যে জন্য আসা তুমি না কি আমার নীলুর বিয়ে দেবে না বলেছ
বাবা – ওওও.. তুমি ও এই জন্য এসেছ
(তিন জনের মধ্যে কথা বলাবলি হচ্ছিল )
কিছু ক্ষণ পর আবার কানে এলো কে যেনো ডাকছে মা ও মা বাবা ও বাবা কিন্তু এবার কোনো মেয়ে নয় ছেলের গলা তবে সেটা নীলুর গলা…
মা – নীলু সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিস
নীলু – হ্যাঁ মা নিয়ে এসেছি
মা – ও মা কি সুন্দর চোখ, নাক, কান। ও মা ও টুসু নীচে আয় দেখি শিগগির..নীলু কাকে নিয়ে এসেছে দেখবি আয়।(বাবা কথা গুলো শুনতে পেয়ে বুক কেঁপে উঠলো)
বাবা – বিড়বিড় করে, শেষ! সব শেষ! হয়ে গেল গিনি তো রূপের গুণোগান শুরু করে দিলো
(ততক্ষণে টুসু আর দিদা নীচে গিয়েছে)
বাবা দুঃখ আর রাগ নিয়ে বললো শেষে তাহলে নীলু বউ নিয়ে বাড়ি এলো, হতছাড়া এক বার আমার মান সম্মান নিয়ে ভাবলো না,ছিঃছিঃ এবার বাইরে মুখ দেখাব কি করে আর নীলুর মা কি আনন্দ উমমম পাড়া প্রতিবেশীর কোনো ভাবনা নেই…. এই বলে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন…
এতক্ষনে নীলু ওপরে উঠে এসে বললো দেখো বাবা কাকে নিয়ে এসেছি…
বাবা – উল্টো দিকে মুখ ফিরিয়ে বললো, আমি দেখতে চাই না,
যদি বলি যেখান থেকে নিয়ে এসেছিস সেখানে ফিরিয়ে দিয়ে আসতে পারবি।
নীলু – কি যে বলো বাবা কত কষ্ট করে নিয়ে এসেছি, মায়ের তো পছন্দ হয়েছে তুমি দেখে বলো কেমন হয়েছে।
বাবা – এ সব কথা বার্তা অন্য কাউকে বলবি, তুই বিয়ে করে বউ নিয়ে আনবি আর আমি মেনে নেবো আমার কাছে কি শুধু
আশীর্বাদ নিতে এসেছিস। আগে এক বার আমাকে জিজ্ঞাসা করবার প্রয়োজনবোধ করলি না..
নীলু – বউ! আশীর্বাদ! এ সব কি বলছো তুমি? আমি তো একটা বিড়াল ছানা নিয়ে এসেছি..
বাবা – পিছন ফিরে অবাক হয়ে, ও মা তাই তো এ তো সত্যি বিড়াল ছানা।
মা – হ্যাঁ দেখ কি সুন্দর চোখ, কান কি সুন্দর দেখতে
বাবা – তা তুমি এর কথা বলছিলে?
(চেয়ারে বসে মাথায় হাত দিয়ে ভাবলো কিছুক্ষণ বাবা )
বাবা – নীলু তুই কি বিয়ে করবি?
নীলু – হ্যাঁ বাবা
বাবা – তাহলে মেয়ে দেখা শুরু করব আর শিগগিরই তোর বিয়ে দেবো
(এ কথা শুনে সবাই খুব খুশি হয় বছরের শেষে নীলুর ইচ্ছা পূরণ হয় )
সমাপ্তি
Name- Subhrodeep Baidya
Age – 15
Class – X
Institution – D. H. Bharati Sevasram Sangha Pranab Vidyapith.
স্বপ্নের রাত
কয়েকবছর আগের কথা, দিনটা নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখ সকালবেলা মাসির ফোন এলো।হঠাৎ মা ফোন রিসিভ করতেই মাসি বলে উঠলো,“হ্যাঁ রে দিদি, তোরা কী একেবারেই ভুলে গেছিস আজকের দিনটা? আজ যে আমার জন্মদিন।মা বললো,”তোর জন্মদিন কী আমি কখনো ভুলতে পারি নাকি!” সকাল থেকেই কাজের চাপে আর ফোন করে হয়ে ওঠা হয়নি।হঠাৎ করেই মাসি মায়ের কাছে আবদার করে বসল, যে আমাদের পরিবারের সকলকেই নাকি সন্ধ্যাবেলা তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যেতেই হবে।প্রস্তাব শুনে আমাকে তা উপেক্ষা করতেই হলো কারণ পরশুদিন থেকেই যে আমার বার্ষিক পরীক্ষা শুরু।মাসি কে অনুরোধ করলাম যে সে যেন কিছু মনে না করে। আমি পরে নিশ্চই গিয়ে একবার দেখা করে আসবো। সন্ধ্যাবেলা মা –বাবা জন্মদিনের অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে আমি ঘরে রয়ে গেলাম একা, কিছুক্ষণ পরে মা ফোন করে জানিয়ে দিলো যে তারা ঠিকভাবে পৌঁছে গেছে এবং বেশি রাত হবার আগেই তারা ফিরে আসবে। তখন বাজে রাত নটা। হঠাৎই বাইরে শুনতে পেলাম বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ। তার সঙ্গে শুরু হলো মুষলধারে বৃষ্টি। বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাতের এই পরিবেশ দেখতে দেখতে হঠাৎই শুনতে পেলাম টেলিফোনের আওয়াজ।মায়ের ফোন, ফোন রিসিভ করতেই মা জানালো রাতের এই প্রবল ঝড় বৃষ্টির মধ্যে বাড়ি ফেরা সম্ভব হবে না।আমি যেনো সাবধানে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি আর যেনো একদম ভয় না পাই।
প্রতিদিনই রাত দশটাতেই মা আমাকে নিচের ঘরে খেতে ডাকে। সেই দিনও মায়ের ডাক পেয়ে আমি নিচের ঘরে গিয়ে উপস্থিত হলাম।কিন্তু পর মুহূর্তেই আমার মনে পড়লো যে মা তো ঘরে নেই। তাহলে কার ডাক শুনে আমি নীচে এলাম।মনে আমার এক অদ্ভুত আতঙ্কের ভাব তৈরি হলো। সারা শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠলো।তাও এই ঘটনাকে আমার নিত্যদিনের অভ্যাস আর মনের ভুল ভেবে চুপচাপ খেয়ে শুতে গেলাম।ঘরের আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়তেই অন্ধকার ঘরে আমি কারোর উপস্থিতি অনুভব করলাম।আরোও কিছুক্ষণ পর মনে হলো কেউ যেনো আমার পাশে বসে আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে। আমার শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেলো।হঠাৎই কানে এলো মায়ের ডাক,”ওঠ তাড়াতাড়ি, সকাল আটটা যে বেজে গেলো”, আমার যেনো কেমন সব তালগোল পাকিয়ে গেলো এবং ধীরে ধীরে বুঝলাম যে এটা একটা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না।
Name- Sagnik Ghosh
Age – 14
Class – VIII
Institution – Hindu School.
প্রিয় বাবা
একটি ঘরে একটি মানুষ,
যদিও সে অন্ধ……
রাত্রি বেলা নিজের ঘর,
করতে ভোলেনা বন্ধ।
তার একটি ছেলে আছে,
থাকে বহূ দূরে…..
তবুও সেই অন্ধ বাবা,
ডাকে হাঁক ছেড়ে।
তার ছেলে শুনতে পেলেও
আসেনা বাবার কাছে…
ভুল করে বাবা আবার
টাকা চাই পাছে।
ছোট্ট থেকে বড় করলো
ওই অন্ধ বাবা…..
সেই বাবাকে ছেলে ছাড়া
দেখবেই আর কে বা?
সেদিন বাবা হাত না ধরলে,
পারতোনা সে হাটতে….
বাবা ভাবছে সেই ছেলে আজ
গেছে রোজগার করতে।
বাবার মনে অনেক দিন
ধরেছে এক ধারনা…
মনে হয় সেই বাবার হয়েছে
দুষ্টু রোগ করোনা।
তাই বাবা অনেকদিন থেকে,
খাওয়া করেছে বন্ধ….
ছেলের মনে বাবার প্রতি
জাগেনি কোনো দ্বন্দ্ব।
বাবা মনে হয় শেষ বারের মত
দেখতে পাবেনা ছেলের মুখ…
সেই কষ্টে ফেটে পড়ে,
সেই প্রিয় বাবার বুক।
সেদিন বাবা হঠাৎ করে
লক্ষ করেন স্পষ্ট….
সকাল থেকে বাবার যেন
হচ্ছে শ্বাস কষ্ট।
সেদিন ছিল বিকেল বেলা
ছেলে এসেছে বাড়ি…
এসে দেখে তার বাড়ির সামনে
দাড়িয়ে আছে অনেক গাড়ি।
কিছু না বুঝতে পারে ছেলে
ভেতরে যেই যায়….
গিয়ে দেখে তার সেই
প্রিয় বাবা….
আর এই দুনিয়া তে নাই।
তাই দেখে ছেলের বুক
ফেটে যায় দুঃখে।
ঠাকুরের কাছে চাই বার বার….
বাবা থাকে যেন সুখে।
Name- Kartick Bhandari
Age – 16
Class – X
Institution – Hirpur Manik Chand Thakur Institution.
Arrival of Spring
In a calm, blissful wind,
In the palm of leaves,
Flowers and petals dancing in the land.
Hours of sand glasses are
Running like a brand.
Blossom by blossom, spring Begins.
Column and column, the love Remains.
Do you know spring is for new Beginnings,
While the birds are in chorus of singing?
Oh, the colorful days are Started,
With the heartless flashbacks of parted.

Name- Sayanti Bhowmick
Age – 17
Class – XII
Institution – Authpur National Model School.
প্রেতাত্মা
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের, তাই ভূত টুতে কেউ সেরকম বিশ্বাস বা ভয় কোনটাই করেনা তবুও মনের মধ্যে থেকে যায় একটি আগ্রহ, কৌতূহল “ আদেও, ভূত আছে ?” এই গল্প সেই রকম কিছুটা কৌতূহল ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবার জন্য সে অনেককাল আগের কথা, উনিশ শতকের মধ্যভাগে এক ভারতীয় ব্রিটিশ শাসনাধীন
থাকা মিলিটারিতে যোগদান করেন। তিনি ছিলেন বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার এক গ্রামের বাসিন্দা তিনি কর্মস্থল থেকে তার পরিবারের সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন।তার নাম ছিল কৃষ্ণগোপাল রায়। তার এই মিলিটারিতে যাওয়া নিয়ে তার পরিবারের অভিযোগের অন্ত ছিল না, কৃষ্ণগোপাল তার বাড়ির আসেনি প্রায় নয় মাস হতে চলল।
তার পরিবার থেকেও চিঠি আসা বন্ধ হয়েছে প্রায় ৬ মাস। এতে তার বাবা লিখেছিলেন, “কৃষ্ণগোপাল, অনেকদিন হয়ে গেছে তুমি গ্রামে আসোনি, তোমার মা, স্ত্রী অনুরোধে তোমাকে এই চিঠি লেখা। আশা করছি তুমি ভালো আছো মা। তোমার পরিবারের প্রতি কর্তব্য বলে যদি কিছু থাকে তাহলে অবশ্যই এসো।” অতপর লাহোর থেকে কৃষ্ণগোপাল একদিন মানি অডার নিয়ে তার বাবাকে চিঠি লেখেন “বাবা আমি আগামীকাল বাড়ি ফিরছি।
রঘু কাকাকে আমার জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করতে বল। রঘু কাকা হল কৃষ্ণগোপালের বিশ্বস্ত ও পুরনো চাকর। নির্দিষ্ট দিনে কৃষ্ণ গোপাল রাত ১২:৩০ মিনিটে স্টেশনে নামলেন, স্টেশন মাস্টার জিজ্ঞাসা করলেন “ ওহে কোথায় যাবে”। কৃষ্ণগোপাল উত্তর দিলেন, “আমি থাকি বাঁকুড়ায়, সেখান থেকেই আমাকে নিতে আসার কথা ছিল একজনের” স্টেশন মাস্টার বলেন, “এখন তো কাউকে আসতে দেখিনি, যাই হোক তুমি আজ রাতটা প্লাটফর্মে কাটিয়ে দাও। কাল সকালে পারলে তোমার জন্য কিছু ব্যবস্থা করে দেব।”
কৃষ্ণ গোপাল কোন উপায় না বুঝে প্ল্যাটফর্মেই আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। প্ল্যাটফর্মে বসে চোখ বন্ধ করে ঘুমোতেই কে যেন তাকে ডাকলো “দাদাবাবু, ও দাদাবাবু”।
চোখ খুলে কৃষ্ণ গোপাল সসামনে তাকে বলেন, আরে রঘু কাকা, আমি ভেবেছিলাম তুমি বোধ হয় আমার ওপরে রাগ করে আমাকে নিতে আসো নি। “কি যে বলেন দাদা বাবু আপনি সময়ের উল্লেখ না করায় আমি নদীর গাড়ি রেখেছি, যাইহোক এখন চলুন।” বলল রঘুকাকা। সারাদিনের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেলেন। তারপর যেইনা রঘু কাকা গরুর গাড়িটা চালাতে শুরু করল, সে আর থামার নামই নেয় না। সে গরুর গাড়িকে একেবারে ঘোড়ার গাড়ির মতো তাতে শুরু করলো। কৃষ্ণ গোপাল ভয়ে ভয়ে তাকে বললেন, “একি করছো, আমি তো পড়ে যাব সাবধানে।” কিন্তু কে শুনে কার কথা! এরকম করেই কৃষ্ণগোপাল তার বাড়িতে পৌঁছালেন। বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে রঘু কাকা বিদায় নিল। দরজায় কড়া নাড়তেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসলেন বয়স্ক এক ভদ্রলোক। ইনি কৃষ্ণগোপালের বাবা।
দরজা খুলতেই তাকে বলেন, “তোমার চিঠি আমরা সময় মতোই পেয়েছি কিন্তু সময় তুমি আসবে তা না জানতে পারায় কোন গাড়ি পাঠাতে পারিনি।” কৃষ্ণগোপাল বললেন, “কি বলছেন বাবা, রঘু কাকা তো গেছিল আমায় আনতে।” “ কি কি! রঘু, তুমি ঠিক বলছো তো?”, “হ্যাঁ কিন্তু আপনি এত অবাক হচ্ছেন কেন?” “তা সে ভালই করেছে তোমাকে এনে। অনেক দিনের বিশ্বস্ত লোক, ওর কাজও করেছে। সত্যি কথা বলতে কৃষ্ণ আর বেঁচে নেই, দু–তিন মাস হয়েছে সে মারা গেছে।” কৃষ্ণ গোপাল বিস্মিত সরে বলল, “ মা – মা – মারা গেছে।” “ হ্যাঁ, যাই হোক তুমি ঘরে গিয়ে হাত পা ধুয়ে খেতে বসো।” বললেন তার বাবা।
কৃষ্ণগোপালের স্ত্রী, তার সম্মুখে তার পছন্দের সব খাবার এনে হাজির করলেন। তা দেখে কৃষ্ণ গোপাল বললেন, “একি করেছো, এতকিছু করার কি দরকার ছিল?”। কৃষ্ণ গোপালের শ্রী চুপচাপ বসে রইলেন।কৃষ্ণ গোপাল খাওয়া দাওয়া যেই বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিলেন, অমনি সারাদিনের সব ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতেই কি তার ঘুম পেয়ে গেল। পরদিন তার ঘুম ভাঙলো চিৎকারে। তিনি খুলে দেখেন অর্ধভঙ্গ ঘরে তিনি শুয়ে আছেন। তিনি বিছানা থেকে উঠে তাড়াতাড়ি বাইরে গিয়ে প্রতিবেশীদের কাছে গলায় বলে উঠলেন, “একি, আমার ঘরের এই অবস্থা হল কি করে? ”। প্রতিবেশীরা বলেন, “ওরে কৃষ্ণ তুই কি কিছুই বুঝতে পারছিস না, আর ৬ মাস হয়েছে তোর পুরো পরিবার কলেরায় উজাড় হয়ে গেছে। তারা কেউ আর বেঁচে নেই। তোর কর্মস্থল সম্বন্ধে না জানাই তোকে কোন চিঠি লিখতে পারিনি”।
কৃষ্ণগোপাল গতকাল রাত্রের কথা তাদেরকে জানালো। তারপর ১, ২ দিন থেকে কর্মস্থলে ফিরে যায়।
Name- Swarnava Dey
Age – 16
Class – X
Institution – Shyambazar A.V. School.