গল্প ও কবিতা
ছোট্ট বসন্ত
পাতা ঝরে গেছিলো যেদিন,
মন ভরেছিলো ভারী রাতে
এবার পালা ঝকমকে আলোর
মন দোলাবে হলুদ প্রভাতে।
অল্প সময় এলেই যখন
থাকতে পারো আরো কয়েক মাস
এইতো সবে ফুটলো পলাশ
রং এ ডুববে নীল আকাশ।
সন্ধে বেলা মৃদু বাতাস
আসছে বয়ে জানলা দিয়ে
গাছের ডালে নতুন পাতা
দোল আসলো বার্তা নিয়ে।
পূর্ণিমার সেই বিশাল চাঁদ ,
তাকিয়ে থাকে এক মননে ,
হঠাৎ শুনি তারারা সব ,
কর গুনছে উপর থেকে।
শীতের হীম বাতাস যখন
ভয় দেখাতো রাট পোহালেই
ফাল্গুন আজ সঙ্গে আমার
দিন গুনছে কাল বৈশাখের।
Name- Iman Bhattacharya
Class- VII
Age – 13
School – The Summit School
শিরোনাম: শূন্যতার স্পর্শ
কেউ কি কখনো শুনেছে?
মনের শূন্যতার নিঃশব্দ আওয়াজ,
যেখানে প্রতিটি শব্দ এক একটি নির্জন দ্বীপ,
অজানা সাগরের বুকে ভাসমান,
একমাত্র কবির হৃদয়ে খোঁজে তার ঠিকানা।
এই কবিতার প্রতিটি পঙক্তি,
অস্পৃশ্য এক স্বপ্নের মতো,
যেখানে প্রতিটি অনুভূতি
একটি আলাদা জগৎ সৃষ্টি করে।
নেই কোনো পরিচয়ের মুখোশ,
শুধু আছে মনের গভীরতম আকাঙ্ক্ষার ছোঁয়া।
আমরা লিখি,
যা কেউ কখনো লেখেনি,
অপ্রকাশিত সেই শব্দের বুননে,
গড়ে তুলি এক অজানা রাজ্য।
এখানে নেই কোনো ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি,
নেই কোনো সাম্প্রদায়িক বিভাজন,
শুধু মানুষের আত্মার সাথে
মানুষের অন্তর্লীন সংযোগ।
এই কবিতার প্রতিটি লাইন,
মনের আকাশে এক একটি তারার মতো,
আলো ছড়ায় গভীর অন্ধকারে।
শব্দগুলো বুনে তুলি এমন এক সুর,
যা অমৃতের মতো মিষ্টি,
নেই কোনো বিষের ছোঁয়া।
এই কাব্যের স্বর,
কেউ কখনো শুনতে পায়নি,
শুধু মনের অন্তরে লুকিয়ে থাকা
অজানা আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি।
আমরা লিখি,
যা হৃদয়ের অন্তরঙ্গ কথোপকথন,
যেখানে প্রতিটি শব্দের মধ্যে
বেঁচে থাকে এক নতুন পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি।
এখানে নেই কোনো প্রতিযোগিতা,
নেই কোনো আঘাতের প্ররোচনা,
শুধু শান্তির ছায়ায় বসে
মনের জানালা দিয়ে দেখি
একান্ত নিজের স্বপ্নের রঙিন দিগন্ত।
Name- Anirban Bhattacharya
Age- 19
Class- BCA 1st Year
Institution – Banwarilal Bhalotia College
কোনটা ভালো
গল্প লেখা বড্ড সহজ
বলছিলো ওই বিশুটা,
শুনতে পেয়ে ঢমক দিলাম
চুপ কর হে শিশুটা।
সেই যে শুরু বাকযুদ্ধের,
লাগলো যে তর্ক..
বিশু বললো গল্প লেখে
যারা হয় মূর্খ।
রেগে গিয়ে যুক্তি দিলাম
লিখিস তো ছাঁটের কবিতা,
চার লাইনে শেষ করে দিস
কি থাকে যে ছবিটা।
বিশু এবার রাগলো বেজায়
চটলো যে সব শুনে
মনে মনে ভাবল কি সব
হাতের কর গুনে।
একটু ভেবে করলো শুরু
যুক্তি কত সব..
গল্প নাকি হিজিবিজি
শুধুই ছন্দের অভাব।
তর্ক দেখে এগিয়ে এলেন
পাড়ার বুড়ো দাদু,
কিরে ব্যাটা, তর্ক কিসের!
যুদ্ধ কিসের চাঁদু।
সব কথা যে বলতে তাকেই
দাদু খিলখিলিয়ে হেসে
সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে সেটাই, যাতে
অন্ধকার যায় ভেসে।
Name- Swastika Biswas
Age – 15
Class- Viii
Institution- Shamnagar Balika Vidyalaya
আজব এক বটগাছ
রবি ঠাকুরের কবিতা এর মতন তাল গাছ একপায়ে দাড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে ঠিক তেমন না হলে বেশ অনেক জায়গা জুড়ে রয়েছে ছিলো রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা এক আজব বটগাছ। আজব যেন তাকে দেখতে সারাদিন পাখি দের গুঞ্জন হতো আর রাত হলেই কোথাও যেন মিলিয়ে যেত সব। গরম কালে ছাওয়া দেয় রোদ থেকে বাঁচায় পথ চলতি মানুষ দের। আচ্ছা গাছ এর কি কষ্ট হয়না!সত্যি আজব এটাই মনে হতো ছোট্ট ক্লাস ৮এ পড়া বাবান এর। বাবান দের বাড়ির পাশে রাস্তা তারপর এই আজব গাছ ছিলো। কত পাখি আসে বাসা করে আবার উড়ে যায় বাবান সেসব দেখে আর লিখে রাখে যে কটা পাখি আসছে যাচ্ছে। দাদুর মুখে শুনেছে যে দাদুর ছোটবেলার গাছ এটা তাহলে গাছ এর বয়স দাদুর মতন আজব সব প্রশ্ন আসে বাবান এর। সে একদিন ভাবলো বটগাছ নিয়ে নেট এ সার্চ করবে সন্ধ্যায় পড়তে বসে। যেমন ভাবা তেমন কাজ বটগাছ তার বিজ্ঞান সম্মত নাম কি? কি রং ফল হয় এইসব দেখলো দিন দিন যেন তার কৌতূহল বেড়েই চললো গাছ টা নিয়ে। স্কুলে যাওয়ার পথে কিছু সময়ে দাড়িয়ে দেখতো আর ভাবতো যে গাছ দাড়িয়ে আছে কাল্ন্ত হয়না, খিদে পায়না? ভাবত কি আজব। তারপর একদিন যে সকালে উঠে দেখলো কারা যেন এসেছে গাছ টার কাছে বড়ো বড়ো যন্ত্র পাতি নিয়ে। বাবান তার মাকে জিজ্ঞাসা করলো যে ওরা এসেছে কেন। তার মা বললো গাছ টা অনেক পুরানো হয়েছে ভেঙে পড়তে পারে তাই ওকে কেটে ফেলা হবে। বাবান এর চোখ দিয়ে যেন একফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো যেন গাছ তার বন্ধু আত্মার আত্মীয়।নিমিষে কেটে ফেলা হলো গাছ টাকে।
বাবান প্রশ্ন করলো কি আজব তুমি গাছ যাদের তুমি ছাওয়া দিতে তারাই তোমায় কেটে দিলো!তোমার কষ্ট হয়না সত্যি আজব তুমি।
Name- Supratim Das
Age – 14
Class – VIII
Institution – Dhap Dhapi High School